শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকঃ) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত বিশ্ব মা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আদিতমারী কান্তেশ্বর বর্মন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস চলাকালীন আগুণ; পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণী কক্ষ! লালমনিরহাটে বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্টের অভিযানে ১৮হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার! লালমনিরহাটে করলায় লাভবান কৃষক, বাড়ছে আবাদ লালমনিরহাট-২ আসনের এমপির ছেলে ও সহোদর ভাইয়ের হলফনামা: আয় ও সম্পদে ছেলের চেয়ে ভাই এগিয়ে! লালমনিরহাটে রসালো লিচু এখন লাল রঙে রাঙাচ্ছে! কবিতা হোক কিছু সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বায়ান্নর ভাষা সৈনিকের পুত্রের মৃত্যু!
ভারতীয় মামাতো বোনকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে বিপাকে বাংলাদেশী যুবক

ভারতীয় মামাতো বোনকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে বিপাকে বাংলাদেশী যুবক

আলোর মনি রিপোর্ট: ভারত থেকে অবৈধ পথে মামাতো বোনকে ভাগিয়ে এনে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম হোসেন নামে এক বাংলাদেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও তার মামাত বোনকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে।

সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাতে তার মামাতো বোন ভারতীয় ওই তরুণীকে গোপনে বিয়ে করেন সাদ্দাম হোসেন।

জানা যায়, গত ৩দিন আগে সাদ্দাম হোসেন ও তার বড় ভাই ফল ব্যবসায়ী সাজাহান মিয়া তাদের মামাতো বোন ওই ভারতীয় তরুণীকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। গতকাল শনিবার রাতে ভারতীয় ওই তরুণীর সাথে সাদ্দাম হোসেনের গোপনে বিয়েও হয়। এরই মধ্যে অবৈধ পথে ভারতীয় তরুণীর বাংলাদেশে আসার খবরের সত্যতা জানতে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মককর্তা মশিউর রহমান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান বাবলুকে দায়িত্ব দেন। এরমধ্যে ভারতীয় তরুণী ও যুবক সাদ্দামকে অন্যত্র ভাগিয়ে দেয়া হয়। পরে অন্য এক স্থানে নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে পড়ান জনৈক এক কাজী। বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানেও অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে ওই স্থান থেকেও সটকে পড়েন তারা।

বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, ইউএনও’র ফোন পেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পাই। কিন্তু আমি ওই বাড়িতে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করি।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশী এক যুবকের সাথে তার মামাতো বোন ভারতীয় এক তরুণীর বিয়ে হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মশিউর রহমান সাাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পাটগ্রাম উপজেলায় ভারতীয় তরুণীর সাথে স্থানীয় এক যুবকের বিয়ে হচ্ছে। পরে সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতাও জানতে পারি। পরে পুলিশ গেলে তারা পালিয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone